পার্থিব হোঁচটের পান্থশালায় ভুলের কারুকাজে ভরা আত্মার ঘর,কীটপতঙ্গের মালিকানাতে যখন নশ্বর দেহ তখন সহসাই কেন গড়ি আবেগের ইমারত! তবুও আদিগন্ত মনোভূমির ভাঁজে ভাঁজে অনুচ্চারিত শব্দঘোর চিন্তাশীল মগজে নানাবিধ মিথস্ক্রিয়ায় কাহিনি হয়ে ওঠে। চেনাজানা আটপৌরে জীবন বিচিত্র অনুষঙ্গ পার হয়ে, ব্যক্তিমানসের অন্তর্জাল তোলপাড় করে নেমে আসে বিনত ঝর্নাধারার মতো। একান্ত আয়নায় রাতজাগা প্রতিবিম্বটি ধরা দেয় বিচিত্র কক্ষপথে। জোছনার আলো মেখে যন্ত্রণার স্বর নেমে আসে আসমানের সোপান বেয়ে। গল্পগুলোতে আঁধারের সুরমা পরা তৃষিত চোখ খুঁজে বেড়ায় গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন। নিঃসঙ্গ মুহূর্তে হারিয়ে যাওয়া কেউ মৌন ছন্দে সুর তোলে শহুরে চেলোতে। কাতরকণ্ঠ নীলাভ জলরাশিতে সাজায় ভিন্ন আঙুলের কাব্য। মানব-মানবীর অদম্য ইচ্ছা ভাগ্যের তিরস্কারে পায় কঠিন ছাড়পত্র। কখনোবা উনমানবের মুখোশ দলিত করে স্থায়ী হয় মানবের পদচিহ্ন। প্রযুক্তির প্রেমজালে অব্যক্ত অভিলাষের সাতকাহন ব্যপিত করে হৃদয়োত্তীর্ণ চেরিফল। অনাচারের জগদ্দল পাথর মাড়িয়ে উঠে আসে মানবতার কেতন। তাই গল্পগুলোতে মনের গহিনে সাজিয়ে রাখা অনুভূতির গয়নাগুলো একলাপুরের কাঁকন হয়ে রিনিঝিনি শব্দে বেরিয়ে পড়েছে। বহুকাল ধরে বন্ধ-থাকা দরজাটিকে এক ধাক্কায় খুলে দিয়ে জীবনগুলো হয়ে উঠেছে গল্প।
শিরোনাম | অন্তর্জাল |
---|---|
লেখক | সাবরিনা চৌধুরী |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now