অবশেষে এমেল গাউনটা খুলল। ভেতরে শুধু একটা কালো রঙের কাঁচুলি। না না, তার উপরে অবশ্য শিফনের মতো ফিনফিনে একটা জামা আছে। ওই জিনিস অবশ্য না থাকলেও খুব একটা আপত্তি হত না। আমি একবার মাত্র তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিই। কারণ ছবিটা বেশ উত্তেজক এবং কামোদ্দীপ্ত। এভাবে একটা জোয়ান মেয়ের দিকে তাকানোটা রীতিমতো অস্বস্তিকর ও অনভিপ্রেত। অথচ মন বলছে চোরাচোখে আরেকবার তাকাও না, কে দুষছে তোমায়! এমেলের লজ্জা থাকলে নিশ্চয়ই সে তোমার সামনে নিজেকে এভাবে উদোম করতো না। চোখের সামনেই এমেল ক্রমশ বেআব্রু হয়ে পড়ে, টলোমলো হয়, সত্যি বলতে, ক্রমশ সে অতীন্দ্রিয় হয়ে ওঠে। আমি ঢোক গিলি, আমার হাঁটু কাঁপে, গলা শুকায়, বুঝতে পারি নিজের উপর আমি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি। তারপর…!
গল্পগুলো অবাস্তব, তবে অমূলক নয়। ভিন্ন স্বাদের বেশকিছু গল্প এখানে রয়েছে, তবে স্বাদে-গন্ধে বৈচিত্র থাকলেও রকমসকম কিন্তু মোটামুটি একই। ‘প্যারানরমাল’ বা অতীন্দ্রিয় গল্প বলতে পারেন, আবার ‘অপ্রাকৃত’ বললেও তাতে কেউ আটকাবে না। ঘটনাক্রমে বিশ্বাস রাখা কঠিন বলে মনে হলেও এর একটিও কিন্তু গাঁজাখুরি গপ্পো নয়। লেখক তখন উচ্চশিক্ষার্থে লন্ডনেÑ কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা, আর বাকিটা সেখানকার বন্ধুদের মুখে শুনে শুনে তা থেকে মালমসলা জোগাড় করে তিনি গল্পের ময়ান তৈরি করেছেন, তারপর গ্রন্থাকারে পাঠকসমীপে নিবেদন।
শিরোনাম | চুপিচুপি আসে |
---|---|
লেখক | অরুণ কুমার বিশ্বাস |
প্রকাশনী | আফসার ব্রাদার্স |
Need an account? Register Now