সংশপ্তক (হার্ডকভার)
“সংশপ্তক” শব্দের অর্থ—যারা মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করে যায়, পিছু হটে না। উপন্যাসটিতে শহীদুল্লা কায়সার এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষদের জীবনের গল্প বলেছেন, যারা অন্যায়, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায়।
0 Ratings
0 Answered Questions
By (Authors) : শহীদুল্লাহ কায়সার
Save 70 BDT
Summary:
“সংশপ্তক” শহীদুল্লা কায়সার রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা বাংলাদেশের ইতিহাস, সমাজ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অনন্য সাহিত্যকর্ম। এটি মূলত ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কালকে ঘিরে রচিত। নিচে উপন্যাসটির সারমর্ম দেওয়া হলো:
সারমর্ম:
“সংশপ্তক” শব্দের অর্থ—যারা মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করে যায়, পিছু হটে না। উপন্যাসটিতে শহীদুল্লা কায়সার এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষদের জীবনের গল্প বলেছেন, যারা অন্যায়, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায়।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাই চরণ—একজন আদর্শবাদী মানুষ। তিনি সামন্তবাদী সমাজে অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তাঁর ছেলে শঙ্খ, মেয়ে মীনা এবং স্ত্রী শশী—সবাই নানা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যান।
উপন্যাসে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চরিত্র উঠে এসেছে, যেমন—জমিদার, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মেহনতি মানুষ ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণি। এর মধ্য দিয়ে লেখক বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, সংগ্রাম ও জাগরণের চিত্র তুলে ধরেছেন।
একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে ভাষা ও সংস্কৃতির সংকট—এই দুইয়ের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে উপন্যাসে। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট উপন্যাসে অত্যন্ত প্রাণবন্তভাবে চিত্রিত হয়েছে।
মূল থিম ও বার্তা:
- শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম
- আদর্শের প্রতি অটল থাকা
- সমাজে পরিবর্তনের জন্য আত্মত্যাগ
- ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা
- মানুষের জাগরণ ও আত্মমর্যাদাবোধ
এই উপন্যাস শুধু একটি পারিবারিক কাহিনি নয়, বরং একটি জাতির জাগরণ ও ইতিহাসের ধারাবাহিক রূপায়ণ।


.png&w=3840&q=75)