নীলপুর গ্রাম। সদ্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে লুবনা এখানে একটি ক্লিনিকে ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পারে ক্লিনিকে এক অশরীরীয় আত্মা রয়েছে। আত্মাটা দিদু ওঝার। জেগে উঠেছে একশো বছর পর। সাপরূপে ঘুরে বেড়ায় গ্রামের আনাচেকানাচে। মানুষের রক্তপান করা ঐ ওঝার নেশা। একে একে মারা যেতে থাকে একজনের পর একজন গ্রামবাসী। লুবনা নিজেও বুঝতে পারে না কখন তার প্রতি নজর দিয়েছে দিদু ওঝা। শুধু তাই না, তাকে পাওয়ার জন্য তার পছন্দের মানুষ আকিবকেও দংশন করে সাপরূপী দিদু ওঝা। তারপর বন্দি করে লুবনাকে, ভূগর্ভস্থ গোপন এক কক্ষে। সেখান থেকে পালানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে লুবনা। কিন্তু পেরে ওঠে না অশরীরীয় ক্ষমতার অধিকারী দিদু ওঝার সাথে। দিদু ওঝা ধীরে ধীরে তার রক্তপান শুরু করে। দিনের পর দিন অত্যাচার আর নির্যাতনে লুবনা তখন মৃতপ্রায়। ঐ নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে লুবনা প্রার্থনা করতে থাকে তার যেন দ্রুত মৃত্যু হয়। কিন্তু দিদু ওঝা যে তাকে মরতে দেবে না। কারণ লুবনার রক্ত তার জন্য বড়ো তৃপ্তির, বড়ো আনন্দের। এই রক্তের জন্য সে অপেক্ষা করে ছিল শত বছর! শেষ পর্যন্ত কি মুক্তি পেয়েছিল লুবনা? নাকি তার মৃত্যু হয়েছিল গোপন এক রহস্যময় কক্ষে যে কক্ষের কথা কেউ জানে না?
শিরোনাম | রক্তনেশা |
---|---|
লেখক | মোশতাক আহমেদ |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now