বাংলাদেশ ভূখণ্ডের তিস্তা নদী নিয়ে বাংলাদেশে এটিই প্রথম কাজ। ‘তিস্তা’ উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে মৃতপ্রায় তিস্তার তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের জীবন। মাছ ধরা ও কৃষিকাজসহ নদী নির্ভর বিচিত্র পেশায় তারা নিয়োজিত। কিন্তু পানি ক্রমশ কমে যাওয়ায় এক সময়ের ভরা তিস্তা পরিণত হয় খালে। ফলে এ সকল মানুষের অস্তিত্বসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং বর্ষায় প্রতিবেশী দেশ ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ফুঁসে ওঠে। তিস্তার ভাঙনে নিজেদের জায়গা-জমিন হারিয়ে কেউ খাস জমিনে আশ্রয় নেয়। কেউ কেউ পাড়ি জমায় ঢাকায় বা অন্য কোথাও। কৃষক, মাঝি, চরবাসি পেশা বদলায়, কিন্তু স্বাবলম্বী হতে পারে না কেউই। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই তারা তিস্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তারা তিস্তার পানির জন্য আন্দোলনে নামে। নদীতে ন্যায্য পানির দাবিতে গর্জে উঠে সাধারণ মানুষ। তারা তিস্তা চুক্তির আশায় দিনগোণে। নদী ও মানুষের জীবনসংকট মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ‘তিস্তা’ উপন্যাসে।বাংলা উপন্যাসের প্রচলিত বর্ণনারীতি থেকেও ‘তিস্তা’ আলাদা। উপন্যাসে লেখকের প্রবেশ নেই। চরিত্ররাই যাপিত জীবনের ব্যাখ্যাকারক। তারাই বর্ণনা করে নিজেদের জীবনাভিজ্ঞতা ও সংকট; পাঠককে টেনে নিয়ে যায় দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে।
শিরোনাম | তিস্তা |
---|---|
লেখক | হারুন পাশা |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now