বালুমাটিতে কেউ হারাইলে পায়ের ছাপ দেইখা তার খোঁজ করা যায়। ছাপ সবসময় খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু কোনো এক ভাবে দেখা যায়। কিন্তু পানির মতি ভালো না, তার দিক বেগতিক। কই থেইকা কই নিয়া যাইবো, কেউ জানে না। ভাসাইলো না ডুবাইলো, আছড়াইলো না হেছড়াইলো, কেউ কইতে পারে না। কিন্তু পানিতে নিজ ইচ্ছায় মানুষের ক্ষতি করে না। তার কি বুদ্ধি আছে নাকি?
একটা জিনিস আছে। কিন্তু… কিন্তু ঐটা তো কুসংস্কার, কিচ্ছাকাহিনী। প্রাচীন একটা বস্তু। আসলে কোনো বস্তু না। সেই ছোটবেলায় আব্বার কাছে কিচ্ছাকাহিনী শুনতাম। রাতের আন্ধারে বাতাসের সাথে গীত ভাইসা আসে। নদীতে থাকলে সে গীত শুনা যায়। কোনো রূপ নাই, দেহ নাই, ছায়া নাই। আছে শুধু সুর আর ঢেউ। এক ফোটা বাতাস থাকবো না কিন্তু বিশাল ভয়ংকর ঢেউ আইসা সব উথালপাতাল কইরা যাইব। পানিতে তাঁর কথা শুনে, তাঁর চাহিদাই সবচেয়ে বড়, তাঁর ইচ্ছাই শেষ ইচ্ছা।
তাঁর কাছ থেইকা কি কেউ ফেরত আসে?
শিরোনাম | জলজ |
---|---|
লেখক | আবরার আবীর |
প্রকাশনী | আফসার ব্রাদার্স |
Need an account? Register Now