কারবালার নামটি আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। কিন্তু পুরো ঘটনা আমরা জানি না। আমাদের কাছ থেকে সত্য আড়াল করে রাখা হয়েছে। ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করা হয়। নবী (সা.)-এর প্রতি দরদ দেখানোর লোকের অভাব নেই। কিন্তু কারবালার ইতিহাস লেখার লোক নেই। ইতিহাস লেখা তো দূরে থাক, শোক প্রকাশ করা পর্যন্ত বেদ’আত ঘোষণা করা হয়েছে। হঠাৎ করে কারবালার হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়নি। সংকট শুরু হয়েছিল মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পরক্ষণে। তবে এ সংকট তখন রক্তক্ষয়ের দিকে ধাবিত হয়নি। ধীরে ধীরে সংকট ঘনীভূত হতে থাকে এবং এ সংকট কারবালার লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একদল ধর্ম ব্যবসায়ী ইয়াজিদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অন্য অপরাধী বিশেষ করে তার পিতা মুয়াবিয়াকে রক্ষা করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মুয়াবিয়া হলেন সংকটের মূল হোতা। ইয়াজিদ পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন মাত্র। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ শুধু শিয়াদের নবী নন, তিনি সুন্নিদেরও নবী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, শিয়ারা কারবালার শহীদদের স্মরণে শোক পালন করে, বুক চাপড়ায়। আর সুন্নিরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। যেন ইমাম হোসেন ও কারবালার শহীদরা তাদের কেউ নয়। ইমাম হোসেনকে যারা পর ভাবেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তাদের আপন হন কিভাবে? শেষ নবীর পরিবারের নির্মম পরিণতির প্রতি নীরবতা পালন করে কি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর শাফায়াত আশা করা যায়? এ বইটি হচ্ছে আমাদের এসব অসঙ্গত আচরণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। কারবালার শহীদদের প্রতি যাদের দরদ আছে এবং যারা নির্মোহভাবে ইতিহাসকে তালাশ করেন তাদের জন্য এই বইটি একটি মূল্যবান দলিল।
শিরোনাম | কারবালা |
---|---|
লেখক | সাহাদত হোসেন খান |
প্রকাশনী | আফসার ব্রাদার্স |
Need an account? Register Now