ভার্জিনিয়া উল্ফ্ সেই কবে লক্ষ করেছিলেন, সাহিত্যের আর যেকোনো মাধ্যমের চেয়ে কথাসাহিত্যেই সচরাচর নারীদের দক্ষতার ছাপ পরিলক্ষিত হয় বেশি এবং সেক্ষেত্রে তাদের অর্জনের পাল্লাটাও বেশ ভারী। তাঁর এই পর্যবেক্ষণের পেছনে কিছু সামাজিক কারণ ও বাস্তবতারও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেই একই সামাজিক কারণ কিংবা বাস্তবতার জন্যই হয়তোবা, আজকের দিনেও আমরা দেখতে পাই কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদির চাইতে গল্প, উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ও সক্রিয়। ক্ষেত্রবিশেষে পুরুষ লেখকদের চেয়ে নারী লেখকরা অগ্রসরও বটে।
ভার্জিনিয়ার মনে এ নিয়ে কিঞ্চিৎ ক্ষোভের আভাস থাকলেও, এই সত্যটিকে ইতিবাচকভাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে, কেননা এর মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠীর জীবন, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির যেরকম বিশ্বস্ত ও বহুমাত্রিক বয়ানের সন্ধান পেতে পারি, সেটা হয়ত অনেক শক্তিশালী পুরুষ লেখকের পক্ষেও সেভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। তো, এই সত্যেরই এক উজ্জ্বল প্রতিফলন আমরা দেখতে পাব অতীত ও বর্তমান বিশ্বসাহিত্যের সেরা কজন নারীসাহিত্যিকের লেখা নারীবিশ্বের জীবনবাস্তবতার দলিলসদৃশ এই অনন্য ছোটোগল্প সংকলন ‘মানবীমঙ্গল’-এ।
শিরোনাম | মানবীমঙ্গল |
---|---|
লেখক | আলম খোরশেদ |
প্রকাশনী | পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
Need an account? Register Now