হারুন পাশা গল্প-উপন্যাসের বর্ণনায় লেখককে অনুপস্থিত রাখতে চান এবং রাখেন। ‘তিস্তা’ উপন্যাসের পর ‘চাকরিনামা’-তেও চরিত্ররাই কথক। তাদের কথনেই উপন্যাসটি এগিয়েছে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। নতুন প্রকাশরীতি পাঠককে মুগ্ধ রাখবে, আখ্যানে। উপন্যাসে একজন চরিত্র আরেকজনকে গল্প শোনায়। ওই গল্প থেকে আমরা জানতে পাই সমাজে নি¤œবর্গ হিসেবে বেঁচে থাকা বেকারদের জীবন-কথা। বেকার হওয়ায় তাদের স্বর গুরুত্ব পায় না সমাজ, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রেমিকার কাছেও। মেধা এবং প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তারা এর প্রয়োগ ঘটাতে পারে না সুযোগের অভাবে। চাকরি না থাকা, ব্যক্তির সাথে সমাজ আর রাষ্ট্রেরও ব্যর্থতা বলে মনে করে চরিত্র। চাকরি ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য কমাতে যুক্ত হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনে।লেখক জীবন সেঁচে নেয়া অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে তুলে এনেছেন বেকার জীবনের বিচ্ছিন্নতাবোধ, সংকট, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার আখ্যান। মাহিন, আয়ান, জামসেদ, আনাফ বেকারদের প্রতিনিধিত্ব করছে। উঠে এসেছে তরুণদের ব্যবহৃত প্রাত্যহিক ভাষা, শৈল্পিকভাবে। আলোকপাত করেছেন বিসিএস ক্যাডারের বৈচিত্র্য ও কর্ম-ক্ষমতার উপর। বিবিধ চাকরি জীবনের বিচিত্র ফজিলতের উপর বিস্তারিত বয়ানও হাজির। উপস্থাপনে আছে চমক। সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়েও বক্তব্য প্রাসঙ্গিক করা যায়, তারও নান্দনিক ব্যবহার চোখে পড়ে। উপন্যাস সমাপ্ত হয় আশাবাদের আলো ছড়িয়ে।
শিরোনাম | চাকরিনামা |
---|---|
লেখক | হারুন পাশা |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now