বইয়ের কিছু অংশঃ
মুনিয়া বলল, “আচ্ছা তোমার ময়ূখের দেখা পেয়েছ এখনো?” “জানি না, মনে হয় পাইনি; অথবা পেয়েছি কিংবা কেউ,
আসলে ময়ূখের দেখা কখনই পায় না।
“ময়ূখ অর্থ সুন্দর বা শোভিত, তাই না?” “হ্যাঁ, সুন্দর। শোভিত। জীবনভর আমি আমার এই সুন্দরের খোঁজ করে চলেছি। জীবনটা আমি যাপন নয়, উদযাপন করতে চেয়েছি।”
“আচ্ছা কেউই কি এই সুন্দরের দেখা পায় না?”| “জানি না। এটাও জানি না যে, এ প্রশ্নের উত্তর কেউ জানে কিনা। আমি আমার প্রেয়সীদের মাঝে তাদের সাথে আমার সম্পর্কের মাঝে সম্পর্কের নির্যাসের মাঝে ময়ূখ খুঁজে বেড়িয়েছি। প্রেয়সীদের শব্দটী বহুবচন, শুনলে মনে হবে আমি প্লেবয়। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি ভালোবাসতে চেয়েছি। কেউ আমাকে বাসেইনি, অথবা বেসেছে; তবুও কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতার কারণে চলে গেছে তারা আমাকে ছেড়ে।”
প্রিয় পাঠক, আপনার হাতে যে উপন্যাসটি তার প্রধান চরিত্রটির নাম অবন্ত। পুরোটা জীবন ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝে সুন্দরের কণা খুঁজে বেড়িয়েছে সে। তার জীবনের বাঁকে বাঁকে শাখে শাখে একাধিক ভালোবাসায় জড়িয়েছে। সুন্দরের খোঁজে। পেয়েছে কি? উহু, পাঠক, বলবো না। জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। তবে একটা নিশ্চয়তা দিচ্ছি পাঠক, সহজ ভাষায় লেখা উপন্যাসটি পড়ে মজা পাবেন। জীবনের নির্যাস রয়েছে বইটির ভাঁজে ভাঁজে। এই নির্যাস আপনাকে কখনো হাসাবে, কাঁদাবে, উদ্বেলিত করবে। প্রিয় পাঠক, আমন্ত্রণ। ‘ময়ূখ’-এর ভুবনে প্রবেশ করুন আর নিজেকে ভিজিয়ে আনুন ময়ূখের নির্যাসে।