ইপকো কিছু বুঝে উঠার আগেই গানশিপের একটি গোলা এসে আঘাত করল তাদের স্পেসশিপ নিলগিনে। সাথে সাথে নিলগিনের পিছনের অংশে আগুন ধরে গেল। ইপকো স্পষ্ট বুঝতে পারল কিছুক্ষণের মধ্যেই নিলগিন বিধ্বস্ত হবে। সেক্ষেত্রে তাকে, তার স্ত্রী ইলি এবং সন্তান রিবোকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। বেঁচে থাকার একমাত্র বিকল্প হলো সামনের ঐ অজানা অচেনা গ্রহে অবতরণ করা। কিন্তু তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সামনের ঐ গ্রহে রয়েছে অতি বুদ্ধিমান প্রাণী। আর এই প্রাণীরাই তাদের স্পেসশিপে গোলা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে সামনের ঐ গ্রহে অবতরণ করলে তাদের যে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এদিকে গোলার আঘাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোবট কিপিও নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। স্ত্রী ইলি এবং রিবো দুজনই অবতরণ সিটে বসা। তাদের পক্ষে এখানে আসা অসম্ভব। কাজেই এ মুহূর্তে কেউ যে তাকে সাহায্য করবে সে আশাও নেই। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ইপকো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল। আর তা হলো সামনের ঐ গ্রহতেই অবতরণ করবে সে। এতে যদি মৃত্যু হয় হবে। মহাকাশে এভাবে মৃত্যুবরণ করার চেয়ে নতুন গ্রহে নতুন প্রাণীদের সাথে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা হবে অনেক আনন্দের আর গর্বের। আর ভাগ্য ভালো হলে তারা জয়ীও হতে পারে। কারণ তারা প্রজাতিতে গিগো, মহাবিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিমান এবং উন্নত প্রাণী। তাদের রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কাজেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তাদের রয়েছে। আর সত্যি যদি তারা যুদ্ধে জিতে যায় তা হলে হয়তো শুরু করতে পারবে নতুন জীবন।
শিরোনাম | গিগো |
---|---|
লেখক | মোশতাক আহমেদ |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now