নারী পুরুষের মধ্যকার কেমিস্ট্রি বা রসায়নের ব্যাপারটা মনে হয় বেশ জটিল। সুমির যখন বিয়ে হয়েছিল তখন ওর বিশ বছর বয়স। হবু বর আবেদকে দেখে একটুও আকৃষ্ট হয়নি ও। কিন্তু আবেদের সুমিকে অনেক ভালো লেগেছিল। তারপর সেই একপক্ষের আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে সুমির বিয়ে আর চব্বিশ বছরের সংসার। দুই কন্যা, এক পুত্র আর স্বামীকে নিয়ে প্রবাসের একেবারে হিমহাম আদর্শ সংসার।
এতগুলো বছরে সুমির মনে হয়েছে শরীরের আনন্দের চেয়ে জীবনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে স্বামী আবেদের সাথে তার সম্পর্ক শরীরের আকর্ষণ বা রসায়নের সমীকরণে বাঁধা না। এই সম্পর্ক সম্মান, ভালোবাসা, বিশ্বাসের তারে বাঁধা। কিন্তু সুমির এতদিনের ধারণার শক্ত ভিতে হঠাৎ করেই নাড়া দেয় তার বড় মেয়ে নাবিলা। যে কি না সুমির চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ এবং বাধ্যগত মেয়ে।
যুক্তরাজ্যের পটভূমিকায় লেখা “হৃদয়ের রসায়ন” উপন্যাস করোনা অতিমারীর সময় সুনির সংসারের পাঁচজনের জীবনের গল্প। ছিমছাম সাজানো সংসারটা কেমন করে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে, সেই গল্প সর্বোপরি মা এবং মেয়ের হৃদয়ের রসায়নের গল্প।
শিরোনাম | হৃদয়ের রসায়ন |
---|---|
লেখক | আমিনা তাবাস্সুম |
প্রকাশনী | অধ্যয়ন প্রকাশনী |
Need an account? Register Now