কবি ও গীতিকার শাহ সোহেল আমিন। যিনি অনায়াসে যাতায়াত করছেন শিল্প-সাহিত্যের অনেকগুলো শাখায় যেমন অভিনয় উপস্থাপনা সেই কৈশোর থেকে লেখালেখি ও সংস্কৃতি কমকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছেন। শাহ সোহেল গতবছর কাউন্সিলার নিবাচিত হওয়ার পর বলা যায় এখন পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিক। তাই বলে লেখালেখি থেকে বিমুখ নন এখনো লিখে যাচ্ছেন সমানতালে কিন্তু খুব সম্ভবত গানরচনা তার সবচেয়ে মজ্জাগত, অন্তত দেড়হাজারেরও অধিক গান এ বার্তাটিই দেয় আমাদের। লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো, জীবনের অধিকাংশ সময় শহর এবং তৎসংলগ্ন ইট-কাঠের জঙ্গলে শারিরিক অবস্থান সত্ত্বেও তার রচনার স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী কিংবা আভোগে গ্রামমাটির গন্ধ এমন তরতাজা, তার শিল্পবেদনার প্রকাশ এমনই জলমৃত্তিকা ঘেঁষা- এবং সেটা একটি-দুটো গানে নয়, প্রায় সবগুলো গানে, যেনো তিনি ঠিক করেই নিয়েছেন- এই-ই তার নিয়তি, ঘুরে ঘুরে সেই ফেলে আসা প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ, দৈনন্দিনের বিবিধ জটিলতাকে সরিয়ে সহজ কথা এবং সহজ ভাবের মাঝে মুখলুকানো।শাহ সোহেল আমিন জীবনের যাবতীয় অনুভূতিকে জারিত করেছেন গানে, এবং সুরসংযোজনে যার অনেকগানই শিল্পী-কণ্ঠ মারফত শ্রোতাদের মাতাচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু যেখানে সংগীতায়োজনের ইঙ্গিতটুকু নেই, পাতার পর পাতা কেবলি অক্ষর, এবং শব্দ, এবং আমাদের ভূমিকাটি যেখানে আর শ্রোতার নয়- পাঠকের, তখন এই গানগুলোকে অন্য আরেক আলোয় দেখে ওঠার, কখনো কখনো পাঠোচ্ছ্বাসে মনগড়া সুরে গুনগুনিয়ে ওঠার- এই পা-ুলিপি এসব আনন্দসম্ভাবনাকে ধারণ করেছে দুই মলাটে। পাঠক এবং সুরকার এবং কণ্ঠশিল্পী- যুগপৎ এই তিনটি ভূমিকা উপভোগ করতে করতে গায়ে মাখা যাক ‘চান্দের আলো’।সাগর রহমানকবি, গদ্যকার
শিরোনাম | চান্দের আলো |
---|---|
লেখক | শাহ সোহেল আমিন |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now