নবীজি (সা.) যখন মক্কায় প্রথম প্রথম ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন, মক্কার পৌত্তলিকরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর ওপর। ঠিক এ সময়ে রাসুলের পাশে এসে দাঁড়ান মক্কার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তাঁর চাচা হামজা রাদিয়াল্লাহু আনহু। শুধু পাশেই দাঁড়ালেন না, তিনি নবীজি ও ইসলামের সত্যায়ন করে কালেমা পড়ে মুসলিম হয়ে গেলেন।
সুতরাং নবীজির জীবনের অন্যতম অভয়াশ্রয় হামজার শাহাদাত তাঁকে নিদারুণ ব্যথিত করে। তিনি উহুদের প্রান্তরে হামজার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘোষণা করেন, হামজার হত্যাকারীকে কখনো ক্ষমা করা হবে না। যেখানেই তাকে পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে হত্যা করা হবে।
এই হত্যাকারীর নাম ছিল ওয়াহশি। মক্কার কুরাইশনেতা জুবাইর ইবনে মুতইমের ক্রীতদাস। খুনি ওয়াহশির জীবনের ক্রন্দন আর যাতনা নিয়ে রচিত হয়ে অনবদ্য এক উপন্যাস : হামজার খুনি!
ওয়াহশি মক্কার কুরাইশনেতা জুবাইর ইবনে মুতইমের ক্রীতদাস। দাসের জীবন নিয়ে অপদস্থ ওয়াহশি দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্য ছিল বেপরোয়া। বদর যুদ্ধের পর তার মনিব জুবাইর এবং আবু সুফিয়ানের হিন্দা তার সামনে এক লোভনীয় প্রস্তাব পেশ করে। আগামী যুদ্ধে যদি সে হামজাকে হত্যা করতে পারে তবে সে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে এবং সঙ্গে পাবে আরও নানা অর্থ-সম্পদ। ওয়াহশি সে প্রস্তাব লুফে নেয় এবং উহুদের প্রান্তরে পেছন থেকে বর্শা নিক্ষেপ করে হামজাকে হত্যা করে।
কিন্তু ওয়াহশির পরবর্তী জীবন কীভাবে কাটে? দাসত্বের জীবন থেকে মুক্ত হয়ে সে কি সুখী হয়েছিল? স্বাধীন মানুষ হিসেবে সে কি সত্যিকারভাবে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল মক্কার মানুষের কাছে? তার প্রেমিকা, যার জন্য সে সবকিছু তুচ্ছ করতে পারতো, সে কি অবশেষে একান্ত তার হয়েছিল? ওয়াহশি কি একদিনও ঘুমাতে পেরেছিল তৃপ্তির ঘুম?
এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রচিত দারুণ এক কাহিনিকাব্য নাজিব কিলানির বিখ্যাত উপন্যাস ‘কাতিলু হামজা’—হামজার খুনি।
শিরোনাম | হামজার খুনি |
---|---|
লেখক | নাজিব কিলানি |
প্রকাশনী | নবপ্রকাশ |
Need an account? Register Now