মফিজ
উদ্দিন আহম্মেদ তাঁর ‘ফিরে দেখা’ বইটির পা-ুলিপি নিয়ে বইমেলায় হাজির হয়েছেন। আমি ছিলাম ‘অনন্যা’র স্টলে। খুঁজতে খুঁজতে এলেন। হাসিমুখের প্রাণবন্ত মানুষ। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের একজন। একটা সময়ে আমাদের ধারণা ছিল পুলিশ কর্মকর্তাগণ সহজে হাসেন না। কিন্তু গত কতগুলো বছরে এই ধারণাটা আমার বদলে গেছে। এখন পুলিশের যিনি ইন্সপেক্টর জেনারেল, আমার বিশেষ বন্ধু ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া এবং আরও অনেককেই দেখি পুলিশ সম্পর্কে আমাদের পুরনো ধারণাটা তাঁরা বদলে দিয়েছেন। তাঁরা হাসিখুশি মুখের প্রাণবন্ত মানুষ। মানুষের সঙ্গে মেশেন অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে। প্রত্যেকেই মানুষের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করছেন। মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সাহেবও এই গোত্রেরই মানুষ। মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেশার আশ্চর্য গুণটি তাঁর আছে। যার ফলে চুয়াডাঙ্গার মতো ছোটো জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে কাজ করার সুবাদে ঐ অঞ্চলের নানা স্তরের মানুষকে তিনি খুব নিবিড়ভাবে দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতাগুলোই টুকরো টুকরো গল্পের মতো করে এই বইটি সাজিয়েছেন। খুব সহজসরল ভাষায় জীবনের ওই সময়কার অভিজ্ঞতাগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে গল্প কথায় তুলে ধরেছেন। আমি নিশ্চিত এই বইটি পাঠকের ভালো লাগবে। বাংলা সাহিত্যের একজন খুব বড়ো মাপের সাহিত্যিক আবু ইসহাক পুলিশ বিভাগে কাজ করতেন। তাঁর ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ এবং ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি। ধিরাজ ভট্টাচার্যের ‘যখন পুলিশ ছিলাম’ বইটিও এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ইদানীং আমাদের মোশতাক আহমেদ ভালো লিখছেন। ডাক্তার এবং পুলিশের পক্ষে ভালো লেখক হওয়া সম্ভব। কারণ তাঁদের জীবন অভিজ্ঞতা ব্যাপক। মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সাহেবের ‘ফিরে দেখা’ বইটিও অভিজ্ঞতার আলোয় জ্বলজ্বল করছে। এই বই নিশ্চয়ই সমাদৃত হবে।ইমদাদুল হক মিলনকথাসাহিত্যিক
শিরোনাম | ফিরে দেখা |
---|---|
লেখক | মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now