একেকজন সাহাবি বিশ-পঁচিশ-ত্রিশ কিংবা অনেকে তার চেয়েও বেশি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এক জীবনে। জি না, তারা চিরকুমার ছিলেন না; বরং প্রায় সকলেরই একাধিক স্ত্রী ছিল এবং সে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর ওপর সন্তুষ্টও ছিলেন। তাদের ঘরভর্তি সন্তান-সন্তুতিও ছিল। সবই তারা সামলেছেন। আবার ফজরের সময় আল্লাহর রসুল যখন জিজ্ঞেস করেছেন, কে আজ সাদাকা করেছো? কে আজ রুগী দেখতে গিয়েছো? আবু বকর হাত তুলেছেন।
যখন একটি হাদিস সংগ্রহ করতে অনেক ক্ষেত্রে মাইলের পর মাইল সফর করতে হতো—এরোপ্লেনে নয়, গাধা-খচ্চরে চড়ে—তখন ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে কম-বেশ ত্রিশ হাজার হাদিস সংগ্রহ করেছেন। ইমাম বুখারি সাত হাজার পাঁচশত হাদিস সংকলন করেছেন শুধু সহিহ বুখারিতে। প্রতিটি হাদিস লিপিবদ্ধ করার পূর্বে তিনি দুই রাকাআত সালাতও আদায় করেছেন।
ইমাম আবু হানিফা, শাফিঈ, মালিক (র.) প্রমূখ বিশেষজ্ঞগণ যে অবদান রেখেছেন ইতিহাস তার সাক্ষী। পাখির পালক কালিতে চুবিয়ে লেখার যুগে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার করা রচনাগুলো আমাদের অনেকে এক জীবনে হয়তো পড়েও শেষ করতে পারব না।
তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সব কাজ সহজ করে দিয়েছে। ক্লিকেই দুনিয়ার তথ্য আমাদের নখের ডগায়। আমরা পৃথিবীর এক প্রান্তে প্রাতরাশ সেরে অন্য প্রান্তে দুপুরের কাইলুলা করতে পারি। এত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও পূর্বসূরীদের মতো যোগ্য সন্তান জন্ম দিতে এই জাতি আজ ব্যর্থ। সকাল হয়, দিন গড়িয়ে রাত হয়, আবার সূর্য ওঠে। আলু-পেঁয়াজ আর বিদ্যুৎ বিলের হিসাব মেটাতেই বেলা শেষ। পৃথিবীকে দিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই করা হয় না। সময় নেই, ব্যস্ত।
আমরা কি আসলেই ব্যস্ত—নাকি ব্যস্ততার অভিনয় করি, নিজেকে কিছু একটা প্রমাণিতে?
তথ্যপ্রযুক্তির অক্টোপাসে জড়ানো আধুনিক এই সময়ে জীবনটাকে আরেকটু যারা অর্থবহ করতে চান; পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার মতো কিছু করতে চান তাদের জন্য সিয়ানের বই “Time Management” বাংলা অনূদিত হয়ে এসেছে “টাইম ম্যানেজমেন্ট” নামে।
একেবারে সহজ সরল সমীকরণে বইটি লিখেছেন ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটির হেড টিউটরিয়াল এসিসট্যান্ট উস্তাদ ইসমাইল কামদার।
শিরোনাম | টাইম ম্যানেজমেন্ট |
---|---|
লেখক | আবু মুআবিয়া ইসমাইল কামদার |
প্রকাশনী | সিয়ান পাবলিকেশন |
Need an account? Register Now