ছোটোমামার সাথে পাহাড় দেখতে এসেছে চয়ন। কিন্তু নিবিড় সবুজে ঢাকা পাহাড়চূড়ার বদলে সে দেখল ভয়ংকর পাঁশুটে এক মুখচ্ছবি। ঠিক যেন ঘাড় মটকে রাখা মড়ার শরীর! নিস্তব্ধ চারিধার, গাঢ় অন্ধকার! আর থেমে থেমে সেই অশরীরী নর্তকীর নূপুরের ঝংকার। আতঙ্কে মৃগী রোগীর মতো থরথর করে কাঁপছে চয়ন। আঃ ধপাস! মূর্ছা গেল নাকি! ভাগনের কা- দেখে আবির ভয়ে কুপোকাত। সেও শুনেছে সেই হাড়-কাঁপানো অদ্ভুতুড়ে কণ্ঠ! বড্ড শীতল আর সম্মোহক প্রেতাত্মার ডাক! রানিমার অতৃপ্ত আত্মা মধ্যরাতে আসমান থেকে নেমে এসেছে বুঝি নীলমণির খোঁজে! বীভৎস সেই দৃশ্য দেখে তাড়া-খাওয়া ষাঁড়ের মতো হাঁপাচ্ছে আবির। প্রেতাত্মা মিলিয়ে যাবার পর পরই নাকে এলো বিটকেল ঝাঁঝালো গন্ধ! যেন জ্যান্ত মানুষ পুড়ছে কোথাও!
শিরোনাম | ভয়ংকর পাতালঘর |
---|---|
লেখক | অরুণ কুমার বিশ্বাস |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now