মোহাম্মদ আছাদুজ্জামানের কবিতা পাঠ করলেই বোঝা যায় তিনি যাপনে, উচ্চারণে আর অনুভবে সার্বক্ষণিক কবি। তিনি তার যাপিত জীবনের আগাপাছতলা ছেঁকে কবিতাকে বের করে আনেন। এ জন্য তার কবিতা খুব সহজেই পাঠকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলে। তার কবিতায় কসরতের কোনো চিহ্নমাত্র নেই, আছে অনায়াস উচ্চারণের ভঙ্গি। ফলে আছাদুজ্জামানের কবিতা পাঠককে দীর্ঘশ্বাসের মতো আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। আছাদ কবিতা লেখেন অনুভবের ভেতরবাড়ি থেকে। কবিতার মধ্যে তার নিজস্ব অনুভবের গভীরতা এত তীব্র আর গভীর থাকে যে, কবির ব্যক্তিগত অনুভব-অনুভূতি পাঠককে খুব সহজেই কাবু করে ফেলে, আক্রান্ত করে ফেলে, রাহুর মতো গ্রাস করে ফেলে। ফলে আছাদের কবিতা পাঠান্তে পাঠক অনেকক্ষণ একটা কাব্যিক আবেশ আর ঘোরের মধ্যে থাকেন। আছাদ তার কবিতায় এই ঘোর তৈরি করেন ছন্দ, তীব্র-তীক্ষ্ন রোমান্টিক কল্পনা, দারুণ স্পর্শকাতর আবেগ এবং দার্শনিক ভাবপ্রবণতা দিয়ে। চাঁদের চিবুক আছাদুজ্জামানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থ যথার্থ কবিতাপিপাসুদের আনন্দ দেবে, তৃপ্ত করবে—এ কথা বোধ করি অত্যুক্তি নয়।
ড. কুদরত-ই-হুদা
গবেষক-প্রাবন্ধিক
শিরোনাম | চাঁদের চিবুক |
---|---|
লেখক | মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান |
প্রকাশনী | আদর্শ |
Need an account? Register Now