ঊর্ধ্বাকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে গরম বাতাসের আকস্মিক সম্প্রসারণজনিত তীব্র নিনাদ এবং বাজনাদকে বলা হয় বজ্রধ্বনি। এই বজ্রধ্বনি সত্যেরও হয় মিথ্যারও হয়। হকেরও হয় বাতিলেরও হয়। যেমন, হুংকার শব্দটি। ‘হকের হুংকারে কেঁপে ওঠে বাতিলের ভিত’, আবার ‘বাতিল শুধু হুংকারই দিতে পারে’। যদিও অনেকেই শব্দটিকে অসত্যের পক্ষে ব্যবহার করে থাকেন, তবে স্বাভাবিক প্রচলনের বাইরে গিয়ে মূল অর্থের বিচারে এর ভিন্ন ব্যবহারে ফুটে উঠেছে এক অনুপম সৌন্দর্য। কবিগুরু যেমন তার প্রসিদ্ধির সূচনাকালে কোথাও বলেছিলেন—‘বিশ্রী রকমের সুন্দর’।ফিতনা মানে পরীক্ষা। এখন হলো ফিতনার যুগ। রকমারি ফিতনা। লাল, নীল ও ধূসর রঙের ফিতনা। ফিতনা কখনো ফিতনার সুরতে হয় আবার কখনো নেক সুরতেও হয়। ফিতনার বজ্রধ্বনিতে কেঁপে কেঁপে উঠছে সারাটা পৃথিবী। ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে স্বপ্নে আঁকা বুনন। চূড়ান্ত ভাঙনের আগে প্রয়োজন সতর্কতা। প্রয়োজন আরেকবার জেগে ওঠা। দৃপ্ত পদবিক্ষেপে; দৃপ্ত হুংকারে।সমকালীন ফিতনা-সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখক আলী হাসান উসামা রচনা করেছেন তার এই ফিতনার বজ্রধ্বনি। যেখানে উঠে এসেছে বর্তমান যুবসমাজের মনে জাগা প্রশ্নাবলির সহজ সমাধান দলিলের আলোকে; কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে। মহান সালাফে সালিহিনের মূলনীতি অনুসারে। বইটি আমাকে দারুণভাবে চমৎকৃত করেছে। বই পরিচিতি প্রসঙ্গে লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সাহেবের কলমেও উঠে এসেছে এর মহিমা; যা আমরা ব্যাককভারে সংযুক্ত করে দিয়েছি।বইয়ের সার্বিক মান বজায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরও মানুষ কখনো তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারে না। তাই বইয়ে যেকোনো ধরনের ত্রুটি বা অসংগতি দৃষ্টিগোচর হলে আমাদের অবগত করার বিশেষ অনুরোধ। পরবর্তী মুদ্রণে আমরা সংশোধন করে নেব ইনশাআল্লাহ। ফিতনার বজ্রধ্বনি বইয়ের বিষয়সূচি :দাজ্জাল : কালো পতাকার শত্রু ; ১১নব্য খারেজিদের উত্থান এবং মুরজিয়া সমাচার ; ৪৭মুসলিম উম্মাহর আয়ু এবং কিয়ামাতের পূর্বাভাস ; ৬৩শতাব্দীর সবচে বড় ফিতনা : মডারেট ইসলাম ; ৭৩মুনাফিকদের ব্যাপারে সতর্ক হোন ; ৮৩শাতিমে রাসুলদের একাল-সেকাল ; ৯৬জাতীয়তাবাদের মূর্তি ; ১২১গণতন্ত্র একটি ধর্ম ; ১৩৪বাংলাদেশ কি দারুল ইসলাম নাকি দারুল হারব ; ১৪৫
শিরোনাম | ফিতনার বজ্রধ্বনি |
---|---|
লেখক | আলী হাসান উসামা |
প্রকাশনী | কালান্তর প্রকাশনী |
Need an account? Register Now