গণসচেতনতা তৈরির জন্য মসজিদের মিম্বারের চেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র আর কিছুই নেই। “বিলিয়ন ডলার প্রোপগান্ডার” বদলে, যদি আমরা আমাদের সমাজের মানুষগুলিকে মসজিদমুখী করতাম এবং মসজিদের মিম্বারগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতাম তাহলে অতি সহজেই আমরা আশাতীত ফল লাভ করতাম। দুর্নীতি ও সহিংসতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত আমাদের এ সমাজের সহিংসতা ও দুর্নীতিমুক্ত বা অপেক্ষাকৃত কম দুনীতিবাজ ও কম সহিংস মানুষগুলিকে নিয়ে সামান্য একটু গবেষণা করুন। দেখবেন যে, এদের সততার মূল কারণ হলো তাদের মধ্যে সৃষ্ট ধর্মীয় মূল্যবোধ, যা পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক বা পারিপার্শিক কারণে তাদের মধ্যে বিকাশ লাভ করেছে।আমাদের সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত। যোগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়। তদুপরি মসজিদ কমিটির খগড়ের নিচে বসে ইমাম সাহেব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না। তারপরও সমাজের দুর্নীতি, যৌতুক, এসিড, সহিংসতা, মাদকতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি রোধে এ সকল অবহেলিত মসজিদগুলির সস্তা ইমামগণ “বিলিয়ন ডলার” প্রকল্পের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখছেন। মসজিদের মিম্বারগুলিকে সমাজগঠনে সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের প্রয়োজন হলো:(১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমুআর সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতীয় সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচার চালানো এবং সকল মুসলিমকে মসজিদমুখি করার চেষ্টা করা।(২) মসজিদের জন্য যোগ্য আলিম ইমাম নিয়োগের ব্যবস্থা করা।(৩) ইমাগণের চাকুরী স্থানীয় মসজিদ কমিটির উপর ষোলআনা ন্যস্ত না করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনা।(৪) ইমামগণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।(৫) কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করা।
শিরোনাম | খুতবাতুল ইসলাম |
---|---|
লেখক | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর |
প্রকাশনী | আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স |
Need an account? Register Now