এই গল্পটি এক দুঃসাহসী যুবকের। যুবকের নাম প্রিন্স। বিবর্তনীয় সমাজ এনে দিতে স্বপ্ন দেখা এবং তার বাস্তবায়ন করা তার প্রধান বৈশিষ্ট্য। কিশোর বয়সেই মোহহীন প্রেমের মায়ার সুতায় বেঁধে যায় প্রিন্সের জীবন। স্বপ্ন সাথি হয় দুরন্ত লাস্যময়ী এক বালিকা-সামিয়া ইসলাম। ঈশ্বরের অদ্ভুত ইঙ্গিতে প্রিন্স আর সামিয়ার প্রেম হৃদয়গ্রাহী ও বেগবান হয়ে ওঠে। তাদের এই স্বপ্ন দ্বীপের যাত্রায় বাধা হয়ে ওঠে একই রক্তকণিকার একজন। মানুষের জীবনে প্রতিযোগিতা ব্যপারটা ব্যাপকভাবে জড়িয়ে আছে। হার-জিৎ, উত্থানপতনের দৌড়ে মানুষ হয়ে ওঠে নির্মম। এমনই এক নির্মম প্রতিযোগিতা ও আপন অভিপ্রায় সাধনের কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে প্রিন্স ও সামিয়ার জীবন। পরশ্রীকাতরতা কতটা জঘন্য হতে পারে তা বুঝতে হলে এই গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানতে হবে। পরশ্রীকাতরতা থেকেই একই রক্তকণিকায় ঘৃণা আর নির্মমতার পাহাড় জমে ওঠে। অদম্য শত্রুদের দ্বারা দরজায় আঘাত আসে চারদিক থেকে। সামাল দিতে দিতেই বেসামাল হয়ে ওঠে প্রেমিক যুগলের স্বপ্ন দ্বীপের যাত্রা।দুঃসাহসী প্রিন্সের জীবনের সকল পদযাত্রায় বিঘœ ঘটাতে সমকালীন বৈরী রাজনীতিও তার বিপক্ষে চলে যায়। কোমল ভালোবাসা ও জীবন যুদ্ধে অধিকার নিশ্চিত করতে রাজনীতির ময়দানে যোগদান পরবর্তী প্রিন্স হয়ে ওঠে বিপ্লবী প্রেমিক। শেষ পর্যন্ত প্রিন্সের বিপ্লবী জীবন কী কিশোর বয়সের প্রেমিকা সামিয়াকে ফিরে পেতে সহযোগী হবে নাকি সামিয়া ও তার পরিবার প্রিন্সের বিপ্লবী জীবনের প্রবল বিরোধী হয়ে উঠবে? প্রিন্সের পরিবার তার বিপ্লবী জীবনের জন্য কি কোনো ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে নাকি অন্য কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে? এক সময়ের সমাজ থেকে বিচ্যুত হয়ে আবার নেতৃস্থানীয় পদ ফিরে পাওয়া কি সম্ভব? বিপ্লবী জীবন কি প্রিন্সকে সফলতা এনে দিয়েছিল? প্রিন্স তার কল্পিত স্বপ্নের কতটুকু বিবর্তন এনে দিতে পেরেছে ঘুণে ধরা সমাজে?সর্বোপরি বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতি যুবসমাজের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে এই গল্পটা, কারণ দ্রোহের মশাল এখন অনেক যুবকের হাতে।
শিরোনাম | দ্রোহের মশাল |
---|---|
লেখক | মোহাম্মদ ছদর উদ্দিন |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now