মিতুর বেশ ঘুম পাচ্ছে। কিন্তু ঘুমানো যাবে না। রাসেল এসে যদি দেখে নতুন বউ ঘুমাচ্ছে, বিশ্রী ব্যাপার হবে। ঘরটা জুড়ে ফুলের গন্ধ। ড্রেসিং টেবিলের উপরে একটা ফুলদানীতে দোলনচাঁপা ফুল রাখা। খুব সুন্দর গন্ধ আসার কথা থাকলেও আসলে আসছে না; কারন ঘরে গাঁদাফুল আর রজনীগন্ধার গন্ধ। ওর গাঁদা আর রজনীগন্ধার গন্ধ খুব বাজে লাগে। ওর ইচ্ছা করছে সামনের জানালা দিয়ে গাঁদা আর রজনীগন্ধাগুলো ফেলে দিতে। শুধু দোলনচাঁপার গন্ধ থাকবে রুম জুড়ে। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো আর হবে না। জীবনে মানুষের বেশির ভাগ ইচ্ছাই পূরন হয় না। দুনিয়া ইচ্ছা পূরণের জায়গা না, পরিক্ষার জায়গা। এটাই নিয়ম। মাঝে মধ্যে হঠাত করে দুই একটা ইচ্ছা পূরন হয়ে যায়।
এই যেমন মিতুর খুব ইচ্ছা ছিলো ওর বিয়েটা খুব সাধারন হবে। বড়জোর ৫০ জন মানুষ উপস্থিত থাকবে। কিন্তু সেটা হলো না। মিতুর অন্তরে বদ্ধমূল ধারণা যে সাধারণ বিয়ের দম্পতিরাই অসাধারণ সুখী জীবন যাপন করে। এর মধ্যে কী অদৃশ্য সূত্র কাজ করে তা মিতু জানে না।
শিরোনাম | শেষ পর্যন্তও |
---|---|
লেখক | সানজিদা সিদ্দিকী কথা |
প্রকাশনী | সিয়ান পাবলিকেশন |
Need an account? Register Now