নিজের সীমার মধ্যে থেকেই রায়াকে পড়ানো শুরু করে অভ্র। কিন্তু রায়া সেই সীমা অতিক্রম করার প্রবল চেষ্টায় আছে। অভ্রকে সে শিক্ষকের চোখে দেখে না। তার কাছে অংক করতেও ভালো লাগে না। তবে স্যারের সাথে গল্প করতে বেশ ভালো লাগে। ভূলবশত পায়ে খোঁচা লেগে গেলে ভালো লাগে। কল্পনায় স্যারকে নিয়ে ভাবতেও তার ভালো লাগে । অবশ্য সেখানে মানুষটি তার অংক স্যার হয়ে আসে না। আসে প্রেমিক পুরুষ হয়ে। আষাঢ়ের প্রবল বৃষ্টিতে ফাঁকা রাস্তায় ভিজে ভিজে। হাতে থাকে একগুচ্ছ কদম। রায়া পাশের বন্ধ টং এর চালের নিচে দাঁড়িয়ে অভ্রের জন্য অপেক্ষা করে। ওকে কাকভেজা অবস্থায় দেখতে পেয়েই শাড়ির আচল দিয়ে চুলগুলো মুছে দেয়। এক পর্যায়ে অভ্র তার সাথে আরো ঘনিষ্ট হয়। রায়া খুব কাছ থেকে অভ্রের উত্তপ্ত নিশ্বাস উপলব্ধি করতে পারে। এর বেশি কিছু সে চিন্তা করতে পারে না। রায়ার শরীর কেঁপে ওঠে।