২০১৩ সালের কথা। কতিপয় ব্লগের সংস্পর্শে এসে আমার মতো অসংখ্য তরুণ তাদের দীর্ঘদিনের লালিত ঈমান হারাতে বসেছিলো। আমার দিবস রজনী কাটতো অস্থিরতায়। উক্ত ব্লগসমূহে বিশ্বাসের বিপরীতে যেসব প্রশ্ন ছোড়া হচ্ছিলো- মন থেকে জানতাম, সেসবের উত্তর অবশ্যই আছে। কিন্তু ঠিক ধরতে পারতাম না। ধরিয়ে দেবার মতও কেউ ছিলো না। নিজের চোখের সামনেই অনেক বিশ্বাসী ভাইকে প্রথমে সংশয়বাদী, এরপরে নাস্তিক হয়ে যেতে দেখেছি।
পৃথিবীর জীবনটা বড়ই বিষ্ময়কর। আমাদের জন্মের পর থেকে আমরা অনেক প্রত্যাশা, প্রাপ্তি আর প্রশ্নের সম্মুখীন হই। জন্মের পর থেকে বয়ে চলা সংস্কৃতিবোধ মানতে চায় না নতুন কোনো সংস্কার। তবুও, জীবনের কোনো বাঁকে এসে আমাদের নিজস্ব সংস্কার ও সংস্কৃতিবোধ বারবার প্রশ্নের মুখোমুখী হয়, আমাদের এতদিনের লালিত বিশ্বাসে দানাবাঁধে সংশয় আর সন্দেহের আবেশ। হৃদয়ের গভীরটা বিশ্বাসী থাকতে চায়, কিন্তু চতুর্পাশের ছুড়ে দেয়া যুক্তির মারপ্যাঁচ আমাদের করে তোলে সংশয়ী।
আমরা ভুল প্রশ্নের উওর খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যাই কিছু ভুল উত্তর। আমাদের প্রশ্নগুলোই যে ভুল- সেটা ধরিয়ে দেয় না কেউ। আমরা তাই অসংখ্য ভুল প্রশ্নের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে খেতে ডুবে যেতে থাকি সন্দেহের অতল গহবরে।
দর্শন আসলে কী? বিজ্ঞান আসলে কীভাবে কাজ করে? আমরা কি আদোও জানি? নাস্তিকরা যখন দর্শন ও বিজ্ঞানকে বিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড় করায়- তখন আমরাও ভাবতে শুরু করি, দর্শন আর বিজ্ঞান চর্চা করলে বোধহয় মানুষ নাস্তিক হয়ে যায়। দর্শন আর বিজ্ঞান বোধহয় ধর্ম বিরোধী। আসলে Philosophy Of Science না বোঝার কারণে আমরা মতাদর্শিক বিজ্ঞানবাদী নাস্তিকদের প্রপাগান্ডায় সাড়া দিই, পঁচা শামুকে পা কেটে বসি।
আলহামদুলিল্লাহ। বিশ্বাস আর ঐশিজ্ঞানের বিপরীতে যেসব সন্দেহ আর সংশয় আমাদের বিশ্বাসী আত্মাকে অস্থির করে তুলছিলো, সেসব প্রশ্নের জবাব কিম্বা প্রশ্নকেই উল্টো প্রশ্ন করার কাজটুকু অনেক ভাই আনজাম দিতে শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিয়ান প্রকাশ করেছিলো গ্রিক স্কলার হামজা জর্জিসের বইয়ের অনুবাদ – “দা ডিভাইন রিয়ালিটি”। এই বইটি নাস্তিকতা বিষয়ক একটা একাডেমিক বই। জনপ্রিয় ধারার পরিবর্তে লেখক একাডেমিক এপ্রোচে বইটির কনটেন্ট সাজিয়েছেন।
শিরোনাম | দা ডিভাইন রিয়ালিটি |
---|---|
লেখক | হামজা জর্জিস |
প্রকাশনী | সিয়ান পাবলিকেশন |
Need an account? Register Now