কবিতা লিখি, না কবিতা কেউ লেখায়...! মীমাংসিত এই প্রশ্নে আমিও দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন সেই দ্বিধায় নেই।কবিতায় ঘোর, কবিতায় বসবাস সেই বর্ণময় শৈশব থেকেই। কিন্তু মাঝে কিছু সময় কবিতার সাথে বিচ্ছেদ ছিল দীর্ঘতর। ১৯৮৯ সালে ঐড়বপযংঃ নামে তৎকালীন জার্মানভিত্তিক একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মময় জীবন এবং অপূর্ব রূপময় বরিশালে পোস্টিং যেন ছিল স্বপ্ন ও ঝড়। ১৯৯০ সালের শেষের দিকে হঠাৎ অনুভব করি আমি আর কবিতায় নেই। কবিতা আমায় ছেড়ে গেছে...!! কালমেঘা, আগুনমুখার কাছে যাই, কবিতা বলে চিৎকার করি...ধানসিঁড়ি নদীতে স্নান করে জীবনানন্দকে ডাকি...কবিতাকে ডাকি কিন্তু হায় অনুভব করি কবিতা আমার সঙ্গ উপভোগ করছে না... কবিতা হারিয়ে যেন দূরদেশের রমণীর মুখ।১৩ জুলাই, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ...দোলই চা-বাগান থেকে ফিরছিলাম... অ্যাক্সিডেন্ট করে ডান-পায়ের টিবিয়া ফিবুলা ডিসলোকেটেড ফ্রাকচার। এই দুর্ঘটনার পর কবিতা তার সমুদ্রে আমায় আবার ডেকে নেয়। তারপর থেকে আমি এই ঢেউজলে খড়কুটো হয়ে বেঁচে আছি মাত্র। আমার এই দ্বিতীয় জীবন শুরুর পর থেকে অনেকের কাছেই আমার ঋণ সীমাহীন। যে-কোনো কিছুর বিনিময়ে তা পরিশোধযোগ্য নয়। আমি তাদের স্মরণ করি সর্বক্ষণ...!আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ অনিন্দ্য প্রকাশের কাছে তাদের আকাশসম মহানুভবতার জন্য।
শিরোনাম | হাজং যুবতীর চুরুট |
---|---|
লেখক | জাফর সাদেক |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now