করোনার প্রথম তিন মাস দেশের অন্য মানুষের মতোই অনেকটা বন্দিজীবন কাটে। এ সময়ে ঘরে থেকে কিছুটা লেখালেখির চেষ্টা করি। যেসব বিখ্যাত বই আগে পড়া হয়ে ওঠেনি অথচ দীর্ঘ দিন শেলফে শোভা পাচ্ছে, সেগুলোর গায়ে আস্তে আস্তে হাত বুলাতে থাকি। ক্রমাগত পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যাই; একে পড়া আর না-পড়ার মাঝামাঝি অবলোকন বলা যায়। হঠাৎ মাথায় আসে, আমাদের তো সপ্তাহে দু’দিন সরকারি ছুটি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বেশি বাইরে যাচ্ছি না বা যেতেও পারছি না। এসময় অনেকটা খেয়ালের বশে বইগুলোর ওপর ছোটছোট করে লিখতে শুরু করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ফেইসবুকে পোস্ট করে দিই। দেখি, অসংখ্য মানুষ পড়ছেন এবং বিচিত্র সব মন্তব্য করে যাচ্ছেন। সবার মন্তব্যই প্রশংসাসূচক। পাঠকের এমন আগ্রহ, উৎসাহ ও প্রেরণা থেকেই ‘ছুটির দিনে বই’ শিরোনামে ধারাবাহিক লেখার সূচনা হয়। লেখাগুলো এক পর্যায়ে ফেইসবুকে থেকে বেশক’টি বহুল আলোচিত দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক এবং অনলাইন পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য লেখকের সম্মতি নেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’, ‘সমকাল’, ‘শব্দঘর’, ‘অন্যদিন’, ‘একুশে পত্রিকা’সহ বিভিন্ন ম্যাগাজিনে এসব লেখা প্রকাশিত হয়ে যথেষ্ট উৎসাহের কারণ হয়। সবক’টা লেখাই আবার পর্যায়ক্রমে দেশের মানসম্মত একটি অনলাইন পত্রিকা ইধহমষধওহংরফবৎ.পড়স-এ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন দিক থেকে বই আকারে প্রকাশেরও তাগিদ আসে। এভাবেই ‘ছুটির দিনে বই’ প্রকাশের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
শিরোনাম | ছুটির দিনে বই |
---|---|
লেখক | হোসেন আবদুল মান্নান |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
Need an account? Register Now