প্রতিটা দিন কীভাবে কাটে ফিলিস্তিনে বসবাসরত মানুষের? প্রতিদিন ধরপাকড়, বুলডোজার, রকেট হামলা, মৃত্যুর মিছিল, লাশ নিয়ে প্রতিবাদী মানুষের ঢল—এসব নিত্যঘটনার আড়ালে একটা জীবন তো তাদের আছে। যে জীবনে খাওয়া-পরার জন্য ভাবতে হয়, কাপড় পরিষ্কার থেকে শুরু করে ঘরদোর ঝাড়-মোছ করা, বিয়ে-সন্তান-ভালোবাসা; ধ্বসে পড়া দালানের নিচ থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দাঁড়াতে হয় খাবারের দোকানের সামনে—কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে কারফিউ।
ফিলিস্তিনে এই জীবনটা কেমন? ফিলিস্তিনি লেখিকা সুয়াদ আমিরি রামাল্লা শহরতলীর এক পুরোনো দালানের জানালা দিয়ে আমাদের দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনের সেই জীবন, যা আমরা কল্পনা করতে কোশেশ করি। সংগ্রামরত ফিলিস্তিনের বিক্ষুব্ধ একটা সময়কে তিনি মলাটবদ্ধ করেছেন তাঁর ডায়েরির পাতায়। তিনি নিজে সেই সময়ের কেবল একজন সাক্ষীই নন, তিনি ইসরাইলি তা-বের বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু মেলে তাকিয়ে থাকা এক অকুতোভয় যোদ্ধাও; পাঠকমাত্রই যার পরিচয় পাবেন বইয়ের অন্দরে।
সুয়াদ আমিরির জীবনের আনন্দ-কান্নার গল্পগুলো তিনি লিখেছেন সহজ-সরল করে। বেশ বিপজ্জনক মুহূর্তেও তিনি স্বাভাবিক, হাসিঠাট্টা করেন, সে বর্ণনাও এসেছে বইয়ে। অথচ তাতে করে ইসরাইলিদের অত্যাচার অনুভব করা কঠিন হয়ে যায়নি মোটেও।
লেখিকার বয়ান—
‘(১৭ নভেম্বর ২০০১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০২) সময়টায় আমি এই বইয়ের দ্বিতীয় অংশ লিখেছি, যুদ্ধদিনের দিনলিপি। সেই সময় ডায়েরি লেখা আমার জন্য থেরাপির কাজ করতো। সন্ধ্যার পর আমি বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে মেইল করতে বসতাম। এই ভয়ানক সময়টাতে আমি কীভাবে বেঁচে আছি, সেটা জানতে ওরা উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করতো। শ্যারন আর আমার শাশুড়ি মিলে যেই সমস্যাগুলো তৈরি করতো, সেগুলোর মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য লেখাটা ছিলো একটা উপায়। বিব্রতবোধ করতে করতে কাছের বন্ধুদের আমি সেসব বলা শুরু করলাম।’
শিরোনাম | রামাল্লা থেকে বলছি |
---|---|
লেখক | সুয়াদ আমিরি |
প্রকাশনী | নবপ্রকাশ |
Need an account? Register Now