বাংলাদেশ নামক এই দেশটিতে বসে আমরা কেন ইংরেজি সাহিত্য পড়ব? সাহিত্যের ইতিহাসে এর জবাব আমরা পেয়ে যাব যদি মনোযোগ দিই। গ্রিক সাহিত্য প্রভাবিত করেছে তার পরবর্তী ইউরোপীয় প্রতিটি সাহিত্যকে। গ্রিকদের সব অর্জন নিজেদের করে নিয়ে রোমানরা সভ্যতার যে চাষ করল, তার সিলসিলা জারি ছিল তাদের পতনের পরও। রেনেসাঁর পিতৃভূমি ইতালি তার হাত ধরে জেগে ওঠে। ইতালির সাহিত্য-কবিতা থেকে আলো নিয়ে সমৃদ্ধ হয় ফরাসি সাহিত্য, প্রাণ পায় ইংরেজি সাহিত্য। রাজনীতিতে বিশ্বায়ন সাম্প্রতিক ঘটনা হলেও সাহিত্যে বিশ্বায়ন অনেক প্রাচীন। রেনেসাঁ-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের এক ভাষার সাহিত্য, দর্শন প্রভাবিত করেছে অন্য দেশের সাহিত্য ও দর্শনকে।
আমাদের বাংলা সাহিত্যও শুরু থেকেই অন্য সাহিত্য থেকে নিয়েছে, আবার দিয়েছেও। আলাওলের পদ্মাবতী হিন্দি সাহিত্য থেকে নেওয়া, ফারসি সাহিত্য থেকে এসেছে প্রচুর, আরবি-উর্দু বলাই বাহুল্য। ইংরেজদের শাসনে যাওয়ার পর থেকে ইংরেজি ও ইউরোপীয় সাহিত্য থেকে এই লেনাদেনা চলছেই। বাংলা সাহিত্যে যে আধুনিক যুগ শুরুর কথা বলি, তা ইংরেজি সাহিত্য প্রভাবিত বাংলা সাহিত্যকেই বুঝি। সাহিত্যের কয়েকটি নতুন প্রকরণ বা ফর্ম যেমন নাটক, প্রহসন, সনেট ও উপন্যাস একেবারেই ইংরেজি ও ইউরোপীয় সাহিত্যের অনুকরণের মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে।
শিরোনাম | ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস |
---|---|
লেখক | সাবিদিন ইব্রাহিম |
প্রকাশনী | আদর্শ |
Need an account? Register Now