সেতারে মালকোশ’ উপন্যাসটি সার্বিকভাবে কিছু সম্পর্কের গল্প। এই সম্পর্কগুলাে যেমন প্রচলিত, তেমনি অপ্রচলিতও বটে। জয় এবং জয়ন্তীর দাম্পত্যজীবনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের আখ্যান রচিত। এই দাম্পত্য খানিকটা হাইপােথেটিক্যাল হলেও বাস্তবতা বিবর্জিত নয়। তবে সবকিছুর সঙ্গে যে বিষয়টি এই উপন্যাসে প্রাধান্য পেয়েছে, তা হলাে— বিশুদ্ধতা বা পরম সৌন্দর্য। সুন্দরের ধারণাও ব্যক্তি-স্থান-কাল-পাত্র দ্বারা সংজ্ঞায়িত। কিন্তু বিশুদ্ধ সুন্দর এসবকিছুর উর্ধ্বে। মানুষ তার বিবর্তনের ইতিহাসে সুন্দরের একটি ধারণা নির্মাণ করেছে। যার সঙ্গে হয়তাে বা সৌন্দর্যের তত্ত্বটি মিলবে না। ‘সেতারে মালকোশ’ উপন্যাসে সেই বিশুদ্ধ সৌন্দর্যের ধারণাটিকেই ফুটিয়ে তােলা হয়েছে। পরম কোনাে কিছুই আসলে বাস্তবের অনুগামী নয়; অন্তত মানুষ যে বাস্তব তৈরি করেছে। পরমের একটি নিজস্ব ধারা আছে, সবসময় সমাজ বা পৃথিবী সেটা ধারণ করতে পারে না, সমাজের মতে তা সুবিধাজনকও নয়।
‘সেতারে মালকোশ’ মানুষের ব্যক্তিজীবনের এক ধ্রুপদী সত্তার উন্মেষণ, যাকে আড়াল করেই সে অহর্নিশ বেঁচে-বর্তে থাকে। সৌন্দর্যের যে অসমান্তরাল অথচ অসীম মিলন রহিত অভিজ্ঞান রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন, তারই কোনাে এক মুহুর্তের সম্প্রসারণ মারুফ রসূলের লেখা এই উপন্যাস।
শিরোনাম | সেতারে মালকোশ (হার্ডকভার) |
---|---|
লেখক | মারুফ রসূল |
প্রকাশনী | পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
Need an account? Register Now