স্পষ্টতই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি মোড় পাল্টেছে- উগ্র জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারণা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার বৈশ্বিক সমস্যা, দারিদ্র্য, যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সব রকমের মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক কম। সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ-সাহায্যেরও ভাটা পড়েছে। এতে বিপদে পড়েছে বনেদি ত্রাণসংস্থাগুলো। গুটিকয়েক ব্যক্তির তহবিল থেকে বড় অঙ্কের অনুদান সংগ্রহের দিকেই ত্রাণসংস্থাগুলো বেশি ঝুঁকছে । তৎপর হয়ে উঠেছে কল সেন্টারগুলো, ঢালাও মানবিক আর্তিতে ভরে উঠেছে মানুষের লেটারবক্স। দ্যা নর্থ এন্ড উপন্যাসের পটভূমিতে রয়েছেন প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকা রোজম্যারি ইম্যাকুলেট-যাকে কেউ-না-কেউ প্রায় প্রতিদিনই ফোন করত । বলত ইয়েমেনের স্কুলে বাচ্চাদের ওপর শিলাবৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণের গল্প, বলত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। কী করবেন রোজম্যারি? কতজন মানুষের দুঃখ লাঘব করবেন? মর্নিংওয়াকে গিয়ে একদিন ব্রিস্টলের ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময়েই রোজম্যারির ফটোগ্রাফার-নাতি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থীদের ছবি তোলায় ব্যস্ত। এক বিবাহিত বাঙালি উন্নয়নকর্মীর সঙ্গে তার প্রেমের পরিণাম চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে কোপেনহেগেন পর্যন্ত একটা বক্ররেখায় সঞ্চারিত হয়। এই যুগল শুধু পালাতে চায়। ওরা উন্নয়ন চায় না, ত্রাণের রাজনীতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি চায় না, চায় না উত্তর ঢাকার উত্তরোত্তর বর্ধমান বিত্তের ভাগ-কিন্তু না-চাইলেও এর অংশভাক না-হয়ে ওদের উপায় কী?
শিরোনাম | দ্যা নর্থ এন্ড |
---|---|
লেখক | বর্ণালী সাহা |
প্রকাশনী | দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) |
Need an account? Register Now