বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সিআইএর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে ঘটনার ঠিক পরপরই। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। ভারতে জরুরি অবস্থার কড়াকড়ির মধ্যেও মিডিয়ার একটি অংশ বাংলাদেশ-অভ্যুত্থানে সিআইএর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে। কংগ্রেস নেতারাও এর সঙ্গে সুর মেলান। এ নিয়ে ওয়াশিংটন-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। তেল আবিব থেকে দিল্লিতে ছুটে আসেন মার্কিন সিনেটর টমাস ইগলটন। ইন্দিরা গান্ধী তখন তাঁকে বললেন, সিআইএর জড়িত থাকার কথা তিনি বিশ্বাস করেন না। এদিকে মস্কো ঢাকায় সিপিবি নেতাদের বার্তা পৌঁছে দেয় যে কেজিবির খবর হলো বাংলাদেশ-অভ্যুত্থানে সিআইএ জড়িত নয়। মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামেন। এ পর্যন্ত তিনিই একমাত্র সাংবাদিক, যিনি সুনির্দিষ্টভাবে ১৯৭৫-এর ঘটনায় মার্কিন-সংশ্লিষ্টতার যথার্থতা দাবি করেছেন। তবে তাঁর অনুসন্ধান ছিল প্রধানত ‘দায়িত্বশীল সূত্র’-নির্ভর। মুজিব হত্যাকাণ্ডের তিন যুগের বেশি সময় পর এই গ্রন্েথই প্রথমবারের মতো এ ঘটনায় মার্কিন-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবমুক্ত করা দলিলের আলোকে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হলো। এই বইয়ে এমন সব তথ্য রয়েছে, যা পাঠককে শুধু চমকেই দেবে না, অধিকতর কৌতূহলীও করে তুলবে।
শিরোনাম | মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড |
---|---|
লেখক | মিজানুর রহমান খান |
প্রকাশনী | প্রথমা প্রকাশন |
Need an account? Register Now