ক্লাসিক্যাল গ্রিক ট্রাজেডির কালজয়ী হবার প্রধান কারণ, এর বিষয়বস্তু মানুষ, মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-হতাশা, আনন্দ-বেদনা, স্নেহ-প্রেম, জয়-বিপর্যয়-এক কথায়, চিরায়ত মানবিক অনুভূতি। আড়াই হাজার বছর আগে নাটকের মাধ্যমে এথেন্সের অ্যারিনায় মানব-চরিত্রের এইসব অন্তর্ভেদী রূপায়ণ আজকের পৃথিবীতেও আশ্চর্যরকমভাবে বিশ্বজনীন। মহাকাল আর মহাবিশ্বের বুকে মানবের নশ্বর জীবন সংগ্রাম- গ্রিক চেতনায় যা নিয়তির লিখন, তা আজও আমাদের প্রতিটি জীবনে কি আশ্চর্যরকমভাবে প্রাসঙ্গিক, কি অদ্ভুত তীব্রতায় সমুপস্থিত। মানবভাগ্যের যে বিপুল বিপর্যয়, ভাগ্যাহতের যে বিশাল হাহাকার গ্রিক ট্রাজেডিতে আমরা প্রত্যক্ষ করি, তার তুলনা বোধ করি বিশ্বসাহিত্যের বিপুলভাণ্ডারে আর কোথাও নেই। ‘গল্পে গ্রিক ট্রাজেডি সমগ্র’তে ইস্কিলাসের ৭টি নাটকের মধ্যে ৬টি, সফোক্লিসের ৭টির মধ্যে ৫টি এবং ইউরিপিডিসের ১৭টির মধ্যে ১২টির গল্পের অনুবাদ সন্নিবেশিত হয়েছে। এই রূপান্তরে নাটকগুলির ‘ড্রামাটিক ফরম’কে ভেঙে ‘নেরেটিভ ফরমে’ নিয়ে আসা হয়েছে। গল্পের নাটকীয় গুণ অক্ষুন্ন রাখার জন্যে বিভিন্ন চরিত্রের সংঘাতকে সরাসরি উপস্থাপন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংলাপ ব্যবহার করে। জীবন যে অপরিসীম গভীরতায়, সংঘাত যে অতুলনীয় তীব্রতায়, মানবতার প্রতি ভালবাসা যে গভীর মমতায় গ্রিক ট্রাজেডিতে রূপায়িত হয়েছে- এই গ্রন্থে আশা করি তার আভাস পাওয়া যাবে।
শিরোনাম | গল্পে গ্রিক ট্রাজেডি সমগ্র |
---|---|
লেখক | এম. রুহুল আমিন |
প্রকাশনী | দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) |
Need an account? Register Now