পুরুষ সম্পর্কে নবনীর ধারণা বরাবরই নেতিবাচক। ওরা শুধু খেতে আর শুতে জানে, অন্য কিছু নয়। তাই তার বিয়েতে ঘোর আপত্তি। বরং কেউ তার সঙ্গে গায়ে পড়ে ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে সিঁটিয়ে যায় নবনী। অথচ ওর মতো মেয়ে হয় না সে যেমন সুশ্রী, তেমনি বিদুষী। পুরুষের এই মজ্জাগত কামুকতার কারণে দু’দুটো জব ছেড়েছে নবনী, এখন তিন নম্বর চলছে। হঠাৎ একজনের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ফেসবুকে। রাজিবুল রাজু অসম্ভব মেধাবী, ব্যক্তিত্ববান ও কর্মিষ্ঠ এক যুবক। নবনী, বস্তুত সেপিওসেক্সুয়াল এক নারী। পৌরুষের বদলে পুরুষের ধীশক্তি ও যোগ্যতা তাকে বরং বেশি টানে। রাজু সম্ভবত সেইরকম পুরুষ, অন্তত নবনীর কাছে তাই মনে হয়েছিল। ওদের দুজনের আলতো আলাপ ক্রমশ প্রেম পর্যায়ে উন্নীত হয়, মনের অজান্তে একে অপরকে ওরা ভালোবেসে ফেলে। তুমুল প্রেম। মামুলি মনোদৈহিক সম্পর্ক নয়, নিরেট প্রেম যাকে বলে। নবনী তাকে চোখে হারায়, রাজুও। পারিবারিক সম্মতিতে ওদের এনগেজমেন্ট হয়, প্রেম এবার পরিণতির পথ খোঁজে। সহসাই অঘটন ঘটলো। অফিস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় নবনী, পরে তার লাশ পাওয়া যায়। ‘লাল ড্রাগন’খচিত সিএনজি অটোর মাধ্যমে তদন্তের সূত্র খুঁজে পান চৌকস ডিটেকটিভ অলোকেশ রয়। নবনীর পুরোনো প্রেমিক (একতরফা অবশ্য) সুরুজ, তার বস রমিজ উদ্দিন আর নবনীর কাজিন রুশা এমন কিছু তথ্য দেয়, যা এই কেসটাকে বড্ড গোলমেলে করে তোলে। অবশেষে নবনী-খুনের কেসের জট খোলে, তবে আবারও মেয়েটা ভুল প্রমাণিত হয়। পরিশেষে পাঠকের মনে হতে পারে প্রেম বলে সত্যিই কিছু নেই! পুরোটাই ডুবোচর, নয়তো চোরাবালির মতোই পলকা।
শিরোনাম | প্রেম কিংবা প্রতারণার গল্প |
---|---|
লেখক | অরুণ কুমার বিশ্বাস |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now