বিশ্ববিশ্রুত পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর (৩০.১১.১৮৫৮/২৫.১১.১৯৩৭) জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। ‘অদৃশ্য আলোক’, ‘বিনাতারে বার্তা প্রেরণ’, ‘গাছের প্রাণ আছে—তারা সাড়া প্রদান করে,’ ‘বৃদ্ধিমান যন্ত্র’সহ বহু আবিষ্কার ও মৌলিক গবেষণার জন্য সারা পৃথিবীতেই তিনি সুপরিচিত। বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বয়সে রবীন্দ্রনাথের চাইতে প্রায় তিন বছরের বড় ছিলেন, কিন্তু দুজনের মাঝে প্রীতিময় বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। উভয়ের মাঝে বন্ধুত্বের নিবিড়তার সূচনা হয় ১৮৯৭-এ বিলেত থেকে জগদীশচন্দ্রের বিজ্ঞানী হিসেবে সুখ্যাতি নিয়ে ভারতে ফেরার পর। বিজ্ঞানী ও কবির এই বন্ধুত্ব জগদীশের মৃত্যুকাল পর্যন্ত অক্ষুণ্য ছিল। সুদীর্ঘ অর্ধশত বছর তাঁরা একে অপরের সুখদুখের সাথি হয়ে থেকেছেন। পরস্পরের নৈকট্যে মনের প্রশান্তি পেয়েছেন উভয়েই। বিপদে স্বজনের মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন দুজন দুজনকে। জগদীশচন্দ্র বসু মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩৭-এর ২৩ নভেম্বরে। সুদীর্ঘকালের বন্ধুত্বের বিরল অটুট বন্ধনের অবসান ঘটে। জগদীশ-পণ্ডীত অবলা বসু রবীন্দ্র-জগদীশ-বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে লিখেছিলেন : “জীবনের শেষ বৎসরও উনি [জগদীশচন্দ্র] প্রত্যহ গ্রামোফোনে কবির স্বর, ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে’ শুনিয়া শয়ন করিতে যাইতেন।” (প্রবাসী, পৌষ ১৩৪৫)।
শিরোনাম | রবীন্দ্রচিঠি গ্রন্থমালা - ২ |
---|---|
লেখক | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
Need an account? Register Now