শতচ্ছিন্ন শাড়ি তালি দিতে দিতে বেলা বয়ে গেল। চারদিকে কিলবিল করছে আগুনের চারা। মাটির মানুষ সেখানে অথর্ব অক্ষম দিশেহারা। কানামাছি খেলতে খেলতেই সময় শেষ। কঙ্কাল কা- কেনাবেচা হয় হাটে, মাঠে ঘাটে। মানুষ স্বপ্ন দেখে, শখের ঘুড়ি ওড়ায় আকাশে। কিন্তু কে নেবে এই দায়ভার? নখবন্দনায় রত হয় নষ্ট নটরাম। ফুলপোকা গা গতরে বসায় বিষাক্ত কামড়। প্রলাপ করে কাব্য। পৃথিবী হতভম্ব হয়। সূর্যের বিয়ে হয়।কিন্তু প্রমাণিত হয় এই ধরাধামে সবই মিথ্যা। কী লজ্জা, কী লজ্জা! চালচুলা নেই, এর মধ্যেও নারীবন্দনা করে কিছু চিহ্নিত কাপুরুষ। কবি এসব জঞ্জাল কেড়ে নিতে চায় বিপুল স্পর্ধায়।নিজেই তৈরি করতে চায় ভিন্ন অন্ধকার। যেখানে অপার স্বাধীনতা। কবি কি নির্মাণ করতে পেরেছেন সেই আরাধ্য জগৎ? জোড়া দিতে পেরেছেন সেই শতচ্ছিন্ন তালি? এরই প্রতিবিম্ব খুঁজতে হবে এই কাব্যগ্রন্থে। হয়তো পেয়ে যেতে পারেন এর ছায়ালিপি। যেখানে রাজ্যজুড়ে শুধু ছিদ্রের ঝড়। যেখানে মড়মড় করে ভেঙে পড়ে প্রজার হাতে গড়া অগণিত ঘর।
শিরোনাম | জোড়া দেবো কত শত তালি |
---|---|
লেখক | ইমরোজ সোহেল |
প্রকাশনী | অনিন্দ্য প্রকাশ |
Need an account? Register Now