টম থাকে খালার কাছে। তার নানা ধরনের ফন্দিফিকিরে খালা অতিষ্ঠ। কিন্তু খুবই ভালোবাসেন মা-মরা ছেলেটাকে। কাজে আর পড়ালেখায় সমানে ফাঁকি দেয় সে। খালার লুকোনো জিনিস খেয়ে ফেলে লুকিয়েই। খালা যখন টমকে ঝাড়ু হাতে খাটের নিচে খুঁজছেন, টম তখন জ্যামের বয়াম সাবাড় করছে আলমারির ভেতরে বসে। খালা ভাবেন, ‘কী শয়তান! এক রকম চাল দুইবার চালে না! দুই দিন পরপর নতুন ফন্দি বের করে ফেলে।’ সে স্কুল তো ফাঁকি দেয়ই, রাতের বেলা বেরিয়ে পড়ে ইনজুন বন্ধু হাকলবেরি ফিনের সঙ্গে। রাত ১০টায় খালাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় গোরস্থানে। বিস্ময়করভাবে সেখানে তারা একটি খুনের ঘটনা দেখে ফেলে গোপনে এবং পালিয়ে আসে। জলদস্যু হওয়ার জন্য এই দুই কিশোর চলে যায় মিসিসিপি নদীর ওপারে ঘন জঙ্গলে। সবাই ভেবেছে ওরা আর বেঁচে নেই। গির্জায় যখন ওদের মৃত্যু নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে, তখন সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ফিরে আসে ওরা। ডাকাত, খুনি আর গুপ্তধনের সন্ধানও পাওয়া যায় ওদের কল্যাণেই। টম ও হাকের দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্যে একবার ডুব দিলে শেষ না করে ওঠা মুশকিল। এই বই প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্ক টোয়েন স্বীকৃতি পান এক অসাধারণ লেখক হিসেবে। বইটি হয়ে ওঠে ছোট-বড় সব পাঠকের আনন্দ-পাঠের এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
শিরোনাম | দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়ার |
---|---|
লেখক | মার্ক টোয়েন |
প্রকাশনী | প্রথমা প্রকাশন |
Need an account? Register Now