হাজ্জাজকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ তাঁকে বলে কাফের, কেউ বলে ফাসেক। কেউ একচেটিয়াভাবে উল্লেখ করে তাঁর সৎকর্মগুলো। আবার কেউ কেউ উল্লেখ করে শুধু তাঁর অসৎ কর্মগুলো। এভাবে নানাজন নানা কথা বলে তাঁর ব্যাপারে। আমরা সেদিকে আর যাব না এখন। আমাদের কথা হলো সাফ। হাজ্জাজ একজন স্বৈরাচার ও জালেম ছিলেন, এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি বহু সাহাবি ও তাবেয়ি খুন করেছেন। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই কোনো মানুষের। কিন্তু তিনি তো আবার ইসলামেরও বহু খেদমত করেছেন। করেছেন কোরআনের সেবাও। আঞ্জাম দিয়েছেন আরও বহুবিধ সৎকর্ম। তাঁর এসব কর্ম কি উপেক্ষিত থাকবে হামেশা? মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে থাকবে সর্বদা? তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় ঘটনাগুলো কি আড়ালেই থেকে যাবে সব সময়? না, এটা তো ইসলামের শিক্ষা নয়। একজন মানুষ অপরাধ করতেই পারে। তাই বলে কি সে অস্পর্শ হয়ে গেছে। তার ভালো কাজগুলোও হয়ে গেছে অগ্রহণযোগ্য? কখনোই নয়। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো, ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো।’ ‘জ্ঞান মুমিনের হারানো সম্পদ। সুতরাং যেখানে তা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে তা আহরণ করার অধিকার রয়েছে তার।’ এসব বিষয় মাথায় রেখে ইতিহাস গবেষক, ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত আলেম ড. আমির মুহাম্মদ মাদারি রচনা করেছেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। এখানে তিনি হাজ্জাজের যাপিত জীবনের গলি-ঘুপচিতে চষে বেড়িয়েছেন সমানতালে। এরপর সেখান থেকে তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরেছেন। হাজ্জাজের জীবনসমুদ্রে ডুব দিয়ে তিনি কুড়িয়ে এনেছেন মুক্তা-মানিক এবং সেগুলো বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
শিরোনাম | হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফঃ অন্য আলোয় দেখা |
---|---|
লেখক | ড. আমিন মুহাম্মদ মাদারি |
প্রকাশনী | নবপ্রকাশ |
Need an account? Register Now