উন্নয়নের প্রচলিত সংজ্ঞায়নে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘অদৃশ্য হাত’- বাজার-ভিত্তিক আর্থিক পরিমাপন পদ্ধতিকে সহজাতভাবেই গুরুত্ব দেয়া হয়। বর্তমান বিশ্লেষণধর্মী গবেষণাকর্ম সেই ধারণার প্রতিস্পর্ধী এবং একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ। মানব উন্নয়নের বিস্তৃত ভাবনাগুলোর নানা সীমাবদ্ধতাও গ্রন্থটিতে খুব স্পষ্ট প্রতিফলিত। সত্যিকার উন্নয়নকে সাংবিধানিক ও ন্যায়বিচারিক অধিকার, সমাজের বাদপড়া মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রক্রিয়া হিসেবে অনুধাবনের জন্য এ গবেষণায় একটি রূপরেখা বিনির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন চেতনায়নের মাধ্যমেই সম্ভব, গ্রন্থে এই যুক্তি শুধু উপস্থাপিত হয়নি, এতে গবেষকরা প্রায়োগিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘চেতনায়নেই উন্নয়নকে বিচার করতে চেয়েছেন। নিবিড় অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিক্ষার্থীকে চেতনায়ন প্রক্রিয়া অনুপুঙ্খ সচেতনতার পথে এগিয়ে নেয়। উন্নয়ন শিক্ষার মূল লক্ষ্য অভিজ্ঞান-নির্ভর কর্মকাণ্ড, এ জন্য চেতনায়ন অতি জরুরি। যুক্তিগ্রাহ্যতা ও পরিমাপণের অভিনবত্বে এ গবেষণায় অনুসৃত পদ্ধতি গতানুগতিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দরিদ্র ও প্রান্তিয় মানুষের সাথে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়েছে পুরো গবেষণা।
শিরোনাম | চেতনায়নেই উন্নয়ন: বাংলাদেশে নিজেরা করির অভিজ্ঞতা |
---|---|
লেখক | আবুল বারকাত |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
Need an account? Register Now