ফিদো (ইংরেজিতে ফিডো; গ্রিকে ফাইদোন)। বলা হয়ে থাকে যে, ‘সক্রেটিস যদি কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক ধারার প্রতিষ্ঠাতা না হয়ে বিশ্বধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হতেন তবে তাঁর পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেত ফিদো’। সক্রেটিস যখন এই সংলাপটিতে বলেছিলেন ‘আমরা অংশত দেহ আর অংশত আত্না’, তখন তিনি দেহ-আত্মার দ্বৈততার ধারণার সূচনা বরেছিলেন এবং আত্মার অমরত্ব প্রমাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন; তাই বিগত আড়াই সহস্রাব্দব্যাপী পাশ্চাত্য দর্শন, ধর্মতত্ত্ব ও মনস্তত্ত্বে আত্মা ও দেহ, মন ও বস্তু, বুদ্ধিমত্তা ও ইন্দ্রিয়ানুভূতি, যুক্তিবোধ ও আবেগ, বাস্তবতা ও অবভাস, ঐক্য ও বহুত্ব, পূর্ণতা ও অপূর্ণতা, অবিনশ্বরতা ও নশ্বরতা, স্থায়িত্ব ও পরিবর্তমানতা, চিরস্থায়িত্ব ও ক্ষণস্থায়িত্ব, ঐশী ও মানবিক, স্বর্গ ও মর্তের ধারণাকে প্রভাবিত করেছে; এখনও ব্যাপ্ত পরিসরে তা পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য-উভয় গোলার্ধের ধর্ম, দর্শনচিন্তা এবং জীবসভাবসাকে প্রভাবিত করে চলেছে। সক্রেটিসের হেমলক পানের দিনে আত্মার অস্তিত্ব, অবিনশ্বরতা এবং সেই বাস্তবতায় নৈতিক জীবনযাপনের অপরিহার্যতা নিয়ে সক্রেটিস তাঁর বন্ধুদের সাথে যে-আলোচনায় মগ্ন হন তার আধো-বাস্তবিক-আধো-কাল্পনিক বর্ণনা হলো ফিদো। সক্রেটিসের বন্ধু ও শিষ্য-ফিদো, যিনি এই আলোচনায় এবং তাঁর মৃত্যুকালে উপস্থিত ছিলেন, তাঁর নামে এই সংলাপটির নামকরণ করা হয়েছে।
শিরোনাম | প্লেটো ফিদো : আত্মা সম্পর্কিত একটি সংলাপ |
---|---|
লেখক | আমিনুল ইসলাম ভুইয়া |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
Need an account? Register Now