পাশ্চাত্য অশ্লীল ও খোদাদ্রোহী সংস্কৃতি ও তার অনুসারীদের প্রকৃতি বিরোধী প্রবণতার একটি দিক এই যে, তারা পুরুষের ক্ষেত্রে পোশাক দিয়ে পুরো শরীর আবৃত করতে উৎসাহ দেন কিন্তু মহিলাদের শরীর যথাসম্ভব অনাবৃত রাখতে উৎসাহ প্রদান করেন। একজন পুরুষ টাখনু অনাবৃত রেখে প্যান্ট, পাজামা, লুঙ্গি বা জামা পরিধান করলে তাদের দৃষ্টিতে ‘খারাপ’ দেখায় ও ‘স্মার্টনেস’ ভূলুণ্ঠিত হয়। পক্ষান্তরে একজন মহিলা টাখুনর উপরে বা ‘নিসফ সাক’ প্যান্ট, পাজামা, পেটিকোট, স্কার্ট ইত্যাদি পরিধান করলে মোটেও খারাপ দেখায় না, বরং ভাল দেখায় এবং ‘স্মার্টনেস’ সংরক্ষিত হয়।“কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” তাদের দৃষ্টিতে মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীর অনাবৃত করাই নারী- স্বাধীনতার প্রকাশ, তবে পুরুষ-স্বাধীনতার প্রকাশ তার দেহ পুরোপুরি আবৃত করা। এজন্য আমরা দেখতে পাই যে, গরম কালেও একজন পুরুষ পরিপূর্ণ স্মার্ট ও ভদ্রলোক হওয়ার জন্য মাথা থেকে পায়ের পাতার নিম্ন পর্যন্ত পুরো শরীর একাধিক কাপড়ে আবৃত করে রাখেন। অপরদিকে শীতকালেও একজন মহিলা মাথা, গলা, কাঁধ, পা, হাঁটু ইত্যাদি সহ যথাসম্ভব পুরো দেহ অনাবৃত করে রাখেন। একমাত্র বেহায়া পুরুষদের অশ্লীল দৃষ্টির আনন্দদান ছাড়া এভাবে দেহ অনাবৃত করে মহিলারা আর কোনো বৈজ্ঞানিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক উপকার লাভ করেন বলে আমরা জানি না। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা বইটি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত একটি অনবদ্য বই।
শিরোনাম | কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা |
---|---|
লেখক | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর |
প্রকাশনী | আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স |
Need an account? Register Now