ক্রিতো নামক সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয় সক্রেটিসের হেমলকপানে মৃত্যুবরণ করার একদিন কি দুদিন পূর্বে তাঁর ও তাঁর ‘চিরবন্ধ’ু ক্রিতোর মধ্যে। সক্রেটিস তাঁর মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন; অপেক্ষার একেবারে শেষ প্রহরে ক্রিতো সক্রেটিসকে জেল থেকে পালিয়ে জীবনরক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান আর সক্রেটিস তার প্রত্যুত্তরে যুক্তি দেখান, কেন সেটা ন্যায়ানুগ নয়। তাঁদের আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে ন্যায়পরতা এবং আইনানুযায়িতার ভিন্নতা, ন্যায়-নৈতিকতা ও আইনের ভিন্ন ভিন্ন দাবি, রাষ্ট্রের সাথে ব্যক্তির চুক্তি, রাষ্ট্রকে ‘বুঝিয়ে-শুনিয়ে সম্মত করা, অথবা তার আদেশ-নির্দেশ মেনে নেওয়া’, রাষ্ট্রের সর্বময়, কর্তৃত্বব্যঞ্জক ক্ষমতা—এমনসব প্রসঙ্গ ও প্রশ্ন জেগে ওঠে। রাষ্ট্র ও ব্যক্তির সম্পর্ক নিয়ে এটি প্লেটোর প্রথম রচনা এবং হয়তো বলা যায়, বিশ্বইতিহাসেও প্রথম। প্লেটো এখানে দেখাতে চেষ্টা করেছেন যে, রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব হচ্ছে সার্বিক, তাই তার আদেশ-নির্দেশ মাথা পেতে নিতে হবে; কিন্তু রাষ্ট্র যদি অন্যায় আদেশ দেয়, তবে? তবে, তাকে যুক্তি দিয়ে, বুঝিয়ে-শুনিয়ে তা রহিত বা পরিবর্তন করার জন্য রাষ্ট্রকে সম্মত করাতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়? তিনি তার উত্তর দেননি। তিনি সক্রেটিসের জীবন ও পরিণতিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
শিরোনাম | প্লেটো: ক্রিতো কর্তব্য ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে একটি সংলাপ |
---|---|
লেখক | আমিনুল ইসলাম ভুইয়া |
প্রকাশনী | পাঠক সমাবেশ |
Need an account? Register Now