ফ্ল্যাপ:
আর যাইহোক স্যার থমাসের শয়তানের প্রতি বিশ্বাসের চেয়ে যিশু প্রতি ঘৃণাটা ছিল অধিক প্রবল। ফলশ্রুতিতে বেছে নেন অনৈতিক সকল পথ। যুগ, কালের চোখে তিনি অবশ্যই একজন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী। কিন্তু তার প্রতিটি চিত্রকর্মের পেছনে রয়েছে হাজারো ভাঙা পরিবারের গল্প। সেসব ধামাচাপা দিতে নিজের যশ-খ্যাতির বিরাট একাংশ অর্থ ব্যয় করতে হয়। স্যার থমাস বাংলাদেশি নন। জন্মেছেন ভিনদেশে। কিন্তু এদেশে ওনার আসার গল্পটা আজও কোনো পত্র-পত্রিকায় ছাপেনি! না কেউ জানে, না জানতে পেরেছে। কেবল একজনই জানেন! সুদূর মিশরে জীবনের শেষভাগ কাটাতে থাকা শেখ সায়ের আলি। প্রতি বছর তিনি দু বাক্স পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু কী আছে এই বাক্স দুটোতে? আর কেই-বা এই শেখ সায়ের আলি?
নিজেকে অপ্রতিরোধ্য ভাবলেও খোদ কালের গহ্বর থেকে এক অভিশাপ সদেহে জেগে ওঠে! যারা চেনে, যুগ বলে অবিহিত করে তাকে। তবে নিজেকে সে অমর বলে দাবি করে না। দাবি করে, প্রতি যুগের একজন নির্বাক দর্শক হিসেবে। মৃত্যুদূতের আজ্ঞা ছাড়া কোনো কাজ করতে পারে না। নিজেকে সর্বদা পরিচয় দেয় অভিশপ্ত বলে। কিন্তু কে এই যুগ? যার জবাবে খোদ স্যার থমাসের মিথ্যা প্রভুও নিরুত্তর! অবশ্য এই রহস্যময় ব্যক্তি কোনো ক্ষতি করে না কিংবা বিরোধও নয়! এমনকি হত্যার চেষ্টাও নয়। কেবল যেতে যেতে বাড়ির চাকর রহমতকে বলে যায়, ফাঁসিতেই ওর মুক্তি। কিন্তু কীসের থেকে মুক্তি? এই প্রশ্নের জবাব মিলে দুবছর পর। কী সেই জবাব?
চুম্বকাংশ-১:
"লেখক তার কল্পনার জগত শব্দ দিয়ে জব্দ করে। আর চিত্রশিল্পী রং-তুলি দিয়ে! উভয়েরই ভিন্ন মাত্রার কল্পনার জগত থাকে। দিন শেষে উভয়ই তো শিল্পী, তাই না? শুধু প্রকাশ ভঙ্গিটা ভিন্ন।" হেসে বললেন স্যার থমাস। তিনি একটু থেমে, কিছুটা ভেবে গম্ভীর স্বরে পুনরায় বললেন, 'ভিন্ন এবং ভিন্নতর!'
চুম্বকাংশ-২:
সত্যিকার অর্থে পাপের বোঝা কখনো ভারি হয় না। বরঞ্চ সময়ের সাথে কমতে শুরু করে। এই যেমন, একটা খুন করলে হত্যাকারী প্রচণ্ড ভয়ে থাকে, যদি সে ধরা পড়ে? ধরা পড়লে যে ফাঁসি হবে, ঘাড়টা যে মটকাবে। এই ভয় সহজে তার পিছু ছাড়ে না। কিন্তু সেই একই হত্যাকারী যদি ধরা না পড়ে? তখন দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে যায়। হত্যাকারী ভাবতে শুরু করে আরেকটা হত্যা করলে কেমন হয়? তখন হত্যাকারী একাধিক খুন করতে ভয় নয় বরং তৃপ্তি পায়…! অমানসিক এক আত্মতৃপ্তি। এই আত্মতৃপ্তির মোহেই জন্ম হয় এক পেশাদার খুনির।
চুম্বকাংশ-৩:
যে শয়তান মানুষ সৃষ্টির বিরোধ করেছে, সে কোনোদিন মানুষের মঙ্গল কামনা করতে পারে না।
চুম্বকাংশ-৪:
শয়তানের প্রতি থমাসের ইমান ছিল দৃঢ়। শুধু তাই নয়, ওর শয়তানের প্রতি বিশ্বাসের চেয়ে যিশুর প্রতি ঘৃণা ছিল খুব বেশি, বেশিই দৃঢ়!